Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইসরায়েলকে গাজায় আগ্রাসনের ‘অজুহাত’ করে দিয়েছে হামাস: মাহমুদ আব্বাস

ইসরায়েলকে গাজায় আগ্রাসনের ‘অজুহাত’ করে দিয়েছে হামাস: মাহমুদ আব্বাস

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে হামাস ইসরায়েলকে গাজায় আগ্রাসন চালানোর অজুহাত করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের জন্য ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য প্যালেস্টাইন ক্রনিকলস এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আরব দেশগুলোর জোট আরব লিগের ৩৩তম সম্মেলনে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ৭ অক্টোবর একতরফা সিদ্ধান্তে হামাস পরিচালিত সামরিক অভিযানই ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় আক্রমণ করার অজুহাত এবং ন্যায্যতা দিয়েছিল।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের মধ্যে এই সম্মেলনে হাজির হয়ে মাহমুদ আব্বাস আরব দেশগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘ফিলিস্তিন সরকার আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছ থেকে যে আর্থিক সহায়তা আশা করেছিল তা পায়নি। আমাদের জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং সরকারকে তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম করার জন্য আরব বিশ্বের সুরক্ষা জালকে সক্রিয় করা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) শাসন অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরও সীমিত হয়েছে। এ ছাড়া, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ইসরায়েল দ্বারা সংগৃহীত কর রাজস্ব স্থানান্তর নিয়ে বিরোধের কারণেও পিএয়ের শাসনক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সাবেক পিএ প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহের মতে, আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর সহায়তাও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বার্ষিক ৬০০ কোটি ডলার বাজেটের ৩০ শতাংশ থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্য নেমে এসেছে প্রায় ১ শতাংশে।

গাজা উপত্যকায়ও একসময় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন ছিল। কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রাজনৈতিক বিশ্বাসের দিক দিয়ে ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী।

ফাতাহ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্র গোষ্ঠী প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় এক হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনো চলছে। ইতিমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

মার্কিন এফ–৩৫ পেয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব, আবদার ইসরায়েলের

মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন জ্যোতির্বিদেরা

ইসরায়েলি বাধায় আটকে আছে ত্রাণ সহায়তা, বৃষ্টি–শীত আর কাদায় নরক নেমে এসেছে গজায়

হরমুজ প্রণালিতে সিঙ্গাপুরগামী তেলের ট্যাংকার জব্দ করল ইরান

সৌদি আরব মার্কিন এফ-৩৫ কিনে চীনকে দিতে পারে, পেন্টাগনের সতর্কবার্তা

গাজার শাসনকাঠামো নিয়ে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া, জাতিসংঘে পাল্টাপাল্টি প্রস্তাব

আফগান বালিকাবধূ এখন ইউরোপের শীর্ষ বডিবিল্ডার

গাজা যুদ্ধের ট্রমা: আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেক ইসরায়েলি সেনা

বিশ্বের উচ্চতম হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’, কক্ষ ভাড়া কত

গাজার একাংশে বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের, থাকবে কেবল ‘হামাসবিরোধীরা’