ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না ইসরায়েল। বরং ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সামরিক ঘাঁটি এবং গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে মার্কিন সমর্থন পেতে আগ্রহী। বাইডেন ও অন্যান্য শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা খুব বেশি কার্যকর হবে না এবং তা এই অঞ্চলটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে ডুবিয়ে দেবে।
প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ইরান যদি ইসরায়েলে আরও হামলা চালায় তবে ইসরায়েল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায়ও হামলা করতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ইরান এরই মধ্যে এ বছর দুবার সরাসরি ইসরায়েল আক্রমণ করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা ভাবছেন—ইসরায়েল একাই ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে কিনা। প্রতিবেদনে ইসরায়েলের সাবেক ও বর্তমান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, ইসরায়েল আসলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি করতে পারবে না হয়তো।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসের শুরুতে ইরানের হামলার পর ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, ইরানের হামলা জবাবে ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রতিক্রিয়া ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ হওয়া উচিত। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তকে বলেন, ইসরায়েলের এমন সব পদক্ষেপ এড়ানো উচিত যার ফলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার একটি সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্ট। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল এরই মধ্যে এই প্রকল্পের ‘সেন্ট্রিফিউজগুলোকে’ বিকল করার পরিকল্পনা তৈরি করেছে।