অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে রক্তক্ষয়ী চলমান সংঘাতে ইসরায়েল সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে জেনিন ক্যাম্পের এক কিশোর। এর জবাবে গুলি চালায় ইসরায়েল সেনারা, নিহত হয় ওই কিশোর। নাবুলাসে অপর ঘটনায় আরেক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবদনে জানানো হয়, নিহত দুই কিশোরের মধ্যে একজনকে চিহ্নিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই কিশোরের নাম মুহাম্মদ ফুয়াদ আত্তা আল-বায়েদ (১৭)। ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলি তার মাথায় লাগে। রামাল্লার পাশের গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রামাল্লার উত্তরে জালাজোন শরণার্থীশিবির থেকে ইসরায়েলি সেনার ছোড়া গুলিতে আহত হয় আল-বায়েদ। তাকে উদ্ধার করে ইস্তিশারি আরব হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সে মৃত্যুবরণ করে। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েল সেনারা গোলবারুদ, টিয়ার গ্যাস ও গ্রেনেড ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে পাথর ছোড়ায় এক সন্দেহভাজন মুখোশধারীকে গুলি করেছে ইসরায়েল সেনারা।
তবে ইসরায়েলের দাবি, মুখোশধারী ফিলিস্তিনি ওই কিশোর ইসরায়েলি সেনাদর লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়ে। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলি সেনারা গুলি ছোড়ে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের মতে, গতকাল শুক্রবার পশ্চিম তীরের নাবলুসে দ্বিতীয় গুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত, অন্যজন গুরুতর আহত হয়।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘সেবাস্তিয়া শহরে গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা ওই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে গাড়ির চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে তাঁর সহযোগীকে আহতাবস্থায় আটক করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, নিহত ওই চালকের নাম ফাওজি মাখালফেহ (১৮)। সংবাদ সংস্থাটি এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।