অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তাদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে হামাস। তবে গোষ্ঠীটি এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা প্রস্তাবে নতুন করে খুব একটা পরিবর্তন আনেনি। এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বলছে, তারা পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে দূরত্ব আছে তা কমাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান অস্বীকার করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস কোনো নতুন ধারণা দিয়েছে। প্যান-আরব সম্প্রচারমাধ্যম আল-আরবি টিভির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি হামাসের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলই প্রত্যাখ্যান করছে। এ সময় তিনি মার্কিন প্রশাসনকে ইসরায়েলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, হামাসের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো ছোটখাটো এবং বিষয়টি অপ্রত্যাশিত নয়। সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এই প্রক্রিয়াকে একটি উপসংহারে নিয়ে যাওয়া। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—সময়ক্ষেপণের সময় শেষ।’
এদিকে, মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে লিখিত গ্যারান্টি চেয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার হামাস এক বিবৃতিতে ‘ইতিবাচকতার’ বিষয়ে জোর দিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি অঞ্চলটি থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির চুক্তি মেনে নিতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, হামাসের এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমি বিশ্বাস করি, কোনো বড় ফাঁক নেই। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।’ তবে এ বিষয়ে মিসরীয় কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
মিসরীয় সরকার বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে কাতার ও মিসর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। মিসর সরকার এ-ও জানিয়েছে যে, তারা হামাসের পাঠানো প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে অধ্যয়ন করবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে মিলে পরবর্তী পদক্ষেপগুলোর সমন্বয় করবে।
আরও পড়ুন—