ইসরায়েলি পুলিশ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন শীর্ষ সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি বিদেশি গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, এই গোয়েন্দা তথ্য ছিল ‘বানোয়াট’ এবং গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি নস্যাৎ করতে এ ধরনের তথ্য ব্যবহৃত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি তথ্য প্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে যে, হামাস গোপনে জিম্মিদের মিসরের সীমান্ত দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এটিকেই তারা ‘গোপন গোয়েন্দা’ তথ্য বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি সমাজে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। যখন জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হতে নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়ছে।
বিরোধী রাজনীতিকেরা নেতানিয়াহুর সহযোগী এলিয়েজার ফেল্ডস্টাইনকে অভিযুক্তদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আদালতের নথি অনুসারে, ফেল্ডস্টাইনসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা ‘গোপন এবং সংবেদনশীল গোয়েন্দা তথ্য’ ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত রোববার প্রকাশিত আদালতের একটি আদেশে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নথি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম থেকে নেওয়া এবং ‘অবৈধভাবে প্রকাশিত’ তথ্য ইসরায়েলের গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্ত করার সক্ষমতার ক্ষতি করে থাকতে পারে।
নেতানিয়াহুর মুখপাত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো নথি ফাঁস হয়নি। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি কখনোই নিরাপত্তাসংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও বলেছে, এই ফাঁসের ঘটনা হামাসের সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির জন্য চলমান আলোচনায় প্রভাব ফেলেছে এমন দাবি ‘হাস্যকর’।
তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ‘ভুয়া’ গোপন নথি ফাঁস করেছে, যাতে জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনাকে ব্যাহত করা যায় এবং জনমতকে প্রভাবিত করা যায়।
গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবার অভিযোগ করেছে, নেতানিয়াহু বারবার হামাসের সঙ্গে চুক্তি নস্যাৎ করেছেন। কারণ গাজার যুদ্ধ শেষ হলে তাঁকে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে।