হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক, রাফাহে অভিযান হবেই: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে, গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হোক বা না হোক, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহে স্থল অভিযান চালাবে। আজ মঙ্গলবার নেতানিয়াহু এ ঘোষণা দেন।

হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের পরিবারগুলোর উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের সকল লক্ষ্য অর্জনের আগেই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব—এই ধারণা প্রশ্নাতীত। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হোক বা না হোক, আমরা রাফাহে প্রবেশ করব এবং সম্পূর্ণ বিজয় অর্জনের জন্য সেখানে হামাসের ব্যাটালিয়নগুলো নির্মূল করব।

হামাসের পক্ষে ইসরায়েলের প্রস্তাব গ্রহণ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা গত রোববার জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের বিষয়টির সঙ্গে হামাসের উল্লেখযোগ্য কোনো বিরোধ নেই।

এদিকে, রাফাহে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু করার আগেই একটি চুক্তিতে আসার জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর চাপ বাড়ছে। অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন এড়াতে জিম্মি প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে চুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষ মিসরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক করছে।

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিশ্চিতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গতকাল সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ বৈঠকের অন্যতম উদ্যোক্তা নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসপেন বার্থ আইদে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান এগিয়ে নিতে চাই, তবে তা নির্দিষ্ট পক্ষের ওপর ভরসা রেখে হবে না। এই পর্যায়ে এসে, ইসরায়েল বিষয়টি নিয়ে কোনো ছাড় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি না এবং যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নেতৃত্বভার গ্রহণ করবে।’

গাজায় চলমান সংকটের শুরু গত বছরের ৭ অক্টোবর। সেদিন ভোরে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জনকে হত্যা করে এবং জিম্মি করে আনে আরও ২৪০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে। জবাবে সেদিনই গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেই হামলা মাঝে এক দফায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির কারণে স্থগিত ছিল। এ ছাড়া, প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ মানুষ হতাহত হয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ জন নিহত এবং প্রায় ৭৮ হাজার আহত হয়েছে। এ ছাড়া অঞ্চলটিতে খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ মৌলিক দ্রব্যের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন