বাসস, ঢাকা
মিনায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করার মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার হাজিরা সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর কাছে মিনায় ‘শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ’ করেন। এদিকে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহার ছুটি উদ্যাপন করছেন।
এ বছর হজ পালন করতে আসা ১৮ লাখ মুসলমান গতকাল ভোরবেলা থেকেই ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা মোকাররমা বাইরে অবস্থিত মিনা উপত্যকায় নির্মিত শয়তানের প্রতীকী তিনটি কংক্রিটের দেয়ালের প্রতিটিতে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন।
ইসলামের ধর্মীয় এ রীতিটি হজরত ইব্রাহিমের (আ.) তিনটি স্থানে শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বলা হয়, সেখানে শয়তান তাঁকে তার পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশ পালন থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিল।
পাথর মারার রীতিটি পালন করতে গিয়ে একাধিক পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনায় ২ হাজার ৩০০ হাজি প্রাণ হারিয়েছিলেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর সেখানে হাজিদের চরম ভিড় এড়াতে স্থানটি নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
শনিবার রাতে হাজিরা পাথর সংগ্রহ করেন এবং মিনা ও আরাফাতের মাঝখানে অবস্থিত মুজদালিফাহ সমভূমিতে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন। সেখানে তারা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খোলা জায়গায় বসে প্রার্থনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ৬০ বছর বয়সী গাম্বিয়ার নাগরিক রোহি ডাইসেকা বলেন, ‘সেখানের তাপমাত্রা খুব, খুব গরম ছিল। এমন গরম পরিস্থিতিতে আমি আমার মাথায় অনেক পানি দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিক হয়ে গেল।’