হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সিরিয়ার দক্ষিণে সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা

অনলাইন ডেস্ক

ইরানে প্রতিশোধমূলক আক্রমণের সঙ্গেই আজ শুক্রবার সিরিয়ায় হামলা করেছে ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, সিরিয়ার দক্ষিণে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েল এই হামলায় চালায়।

ব্রিটিশভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, সুইদা ও দারা প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি রাডার স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী। একই কথা বলেছেন সিরিয়ার দক্ষিণের সুইদা প্রদেশের সংবাদপত্র সুইদা টোয়েন্টি ফোরের কর্মী রায়ান মারুফ।

এদিকে, ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আক্রমণ করেছে ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আক্রমণ ঠেকাতে ইরানের প্রদেশগুলোতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ইরানের ইস্পাহান নগরীর বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের কথা জানা গেছে।

তবে ইরান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন হামলা হয়েছিল। এসব ড্রোনের অধিকাংশই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এই হামলায় ইস্পাহানে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু কর্মসূচি অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি। 

এর আগে ইরানের মহাকাশ সংস্থা দাবি করে, ইসরায়েল কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়নি। তবে ইসরায়েল থেকে আগত বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার পর সংস্থাটি এই দাবি করে।

এ ছাড়া ইরানের গণমাধ্যমের দাবি, ইস্পাহান কিংবা ইরানের কোনো অংশেই বাইরের দেশের কোনো আক্রমণ হয়নি। তাসনিম নিউজ এজেন্সি সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বলেছে যে, ইস্পাহান বা ইরানের অন্য কোনো অংশে বিদেশি কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি।

একজন ইরানি বিশ্লেষক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করেন, যে ড্রোনগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে, সেগুলো দেশের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিল।

সিরিয়া ও ইরাকের আকাশে বিস্ফোরণের কথা শোনা গেলেও ইসরায়েলি বাহিনী দেশ দুটিতে আঘাত হেনেছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা

ইরানে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে দুই বিচারপতিকে গুলি করে হত্যা

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ইসরায়েলের ব্যর্থতা মনে করেন হিজবুল্লাহ প্রধান

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে: কাতার

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যা আছে

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, কার্যকর রোববার

ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন, মন্ত্রিসভার সম্মতির অপেক্ষা

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত, একদিন পিছিয়ে কার্যকর হতে পারে সোমবার থেকে

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করল ইসরায়েল, অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বৈঠক আজ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েও গাজায় ব্যাপক হামলা চালাল ইসরায়েল

সেকশন