অনলাইন ডেস্ক
রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল–সদর। একই সঙ্গে তিনি তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা দেশটিতে নতুন করে আরও রাজনৈতিক সংকটের শুরু করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্থানীয় সময় আজ সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশিত মুক্তাদা আল–সদরের বিবৃতিটি এমন সময়ে এল যখন তাঁর সমর্থকেরা তাঁর ডাকা দেশটির সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের ফলে দেশটি প্রায় ১০ মাস ধরে এক ধরনের অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
টুইটারে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে মুক্তাদা আল–সদর লিখেছেন, ‘আমি চূড়ান্তভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’ তিনি আরও লিখেন, তাঁর ‘সদরীয় আন্দোলনের’ সঙ্গে যুক্ত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গসংগঠন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তিনি ১৯৯৯ সালে আততায়ীর হাতে নিহত তাঁর পিতার মাজার খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, মুক্তাদা আল–সদরের রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণার পরপরই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাঁরা বাগদাদের বিখ্যাত স্থাপনা রিপাবলিকান প্যালেসে ভাঙচুর চালায়। এই রিপাবলিকান প্যালেসটি বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের সরকারি ভবন এলাকার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে অবস্থিত।
বিক্ষোভের সময় শত শত লোক দড়ি দিয়ে রিপাবলিকান প্যালেসের বাইরে রাখা বাধা টেনে নামিয়ে দেয় এবং প্রাসাদের গেট ভেঙে ফেলে। এই ভবনটিতে ইরাকি রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভাস্থল।