অনলাইন ডেস্ক
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছিল হেলিকপ্টারটি। পরে রাইসিসহ তাঁর সঙ্গীদের খুঁজে বের করার অভিযানে সহযোগিতা করতে ড্রোন এবং বিশেষ হেলিকপ্টার পাঠায় তুরস্ক। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে আরও কয়েকটি দেশ।
শেষ পর্যন্ত তুরস্কের বায়রাক্টার আকিনসি ড্রোনের সাহায্যেই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। আকিনসি-০১ (Akinci) নামের ড্রোনটি আজ সোমবার সকালে বাতাসে তাপের উপস্থিতি শনাক্ত করে ধ্বংসাবশেষের স্থানটিকে চিহ্নিত করে। সেখান থেকে পরে রাইসি ও তাঁর সহযাত্রীদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো ওই ড্রোনটির গতিপথ চিহ্নিত করেছে। এতে দেখা গেছে, ওই ড্রোনটি তার উদ্ধার অভিযান শেষ করে আবারও তুরস্কের ভ্যান অঞ্চলে ফিরে যায়। তবে ভ্যান অঞ্চলে গিয়ে এটি একটি বিশেষ কাণ্ড ঘটায়। ভ্যানের আকাশে ড্রোনটি এমনভাবে উড়েছে যে শনাক্ত করা গতিপথে এটিকে একটি অর্ধচন্দ্রাকারের মতো দেখাচ্ছে।
আকিনসি ড্রোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়রাক্টার দাবি করেছে, ড্রোনটি একটি যুদ্ধবিমানের কাজ করতে সক্ষম। মনুষ্যবিহীন যান হিসেবে এটিকে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে মাটিতে যুদ্ধ অপারেশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি টানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এবং ৪০ হাজার ফুট ওপরে উঠতে পারে। এটিতে একটি অভ্যন্তরীণ সেন্সর ফিউশনসহ একটি নেভিগেশন সিস্টেমও রয়েছে। এর ফলে এটি জিপিএসের ওপর নির্ভর না করে কাজ করতে পারে।