অনলাইন ডেস্ক
গত অক্টোবরে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় বেকারত্ব প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের শ্রম সংস্থার বরাতে খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি অঞ্চল জুড়ে গড় বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশেরও বেশি।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্মসংস্থানের ওপর যুদ্ধের প্রভাবের চতুর্থ মূল্যায়নে বলেছে যে, গাজা উপত্যকায় বেকারত্ব ৭৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। আর পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ। দেশটিতে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ বলেও জানায় আইএলও।
আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য আইএলও-এর আঞ্চলিক পরিচালক রুবা জারাদাত বলেন, ‘যে ফিলিস্তিনিরা চাকরি খোঁজা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের রাখা হয়নি এই পরিসংখ্যানে। পরিস্থিতি অনেক খারাপ।’
গাজায় ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নিহত এবং অন্তত ৮৩ হাজার ৩০৯ মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু। যুদ্ধের আগেও গাজার প্রায় ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত।
রুবা জারাদাত বলেন, ‘এই উচ্চ বেকারত্বের হার দিয়ে কল্পনা করুন, মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে না। এটি তাদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে। তাদের হাতে অর্থ থাকলেও সেখানের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পাওয়ার জন্য নেই কোনো হাসপাতাল।’
আইএলওর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে জিডিপি কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় ৮৩ দশমিক ৫ এবং পশ্চিম তীরে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
রুবা জারাদাত বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে, বিশেষ করে পশ্চিম তীরে, আয় হ্রাস অনেক পরিবারকে গুরুতর দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।