গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঈদের জামাত আয়োজন সম্ভব হবে—এমন পরিচ্ছন্ন-পরিসর জায়গার দেখা মেলা ভার। তবু ঈদ এসেছে গাজাবাসীর জীবনে।
দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটির রাস্তায় রাস্তায় ছোটখাটো মেলা বসেছে খাবার-দাবার, কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের। ত্রাণসহায়তাও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও পর্যাপ্ততার অভাব, তবু আনন্দের কমতি নেই। স্বজন-প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় মুখের হাসি হারিয়ে গেলেও ঈদের দিনে গাজাবাসীর মুখে তবু দেখা মিলছে মলিন হাসির।
ঈদের দিন আগেও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে গাজায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ঈদের দিন মধ্যরাতে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি বর্বরতা গাজাবাসীকে দমাতে পারেনি।
ভাঙাচোরা ঘর, রিক্ত হৃদয় আর শূন্য ভাড়ার নিয়েও ঈদ উদ্যাপনে প্রস্তুত তারা। ঈদকে স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন যেন ফিলিস্তিনি সংগীতশিল্পী মুসআব আল গামরি। বর্তমানে রাফাহে অবস্থান করা এই তরুণ সংগীতশিল্পী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানকার শিশুদের ঈদ আনন্দ খানিকটা ফিরিয়ে দিতে।