অনলাইন ডেস্ক
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে প্রখ্যাত শিয়া নেতা মুক্তাদা আল–সদরের সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৮৫ জন। স্থানীয় সময় সোমবার এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
শিয়া নেতা ও রাজনীতিবিদ মুক্তাদা আল–সদর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন গতকাল সোমবার। তাঁর ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর সমর্থকেরা। ভাঙচুর চালায় দেশটির বিখ্যাত রিপাবলিকান প্রাসাদে। বিপরীতে, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করেছে। যা স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে কার্যকর হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তাদা আল–সদর তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা দেশটিতে নতুন করে আরও রাজনৈতিক সংকটের শুরু করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশিত মুক্তাদা আল–সদরের বিবৃতিটি এমন সময়ে এল যখন তাঁর সমর্থকেরা তাঁর ডাকা দেশটির সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের ফলে দেশটি প্রায় ১০ মাস ধরে এক ধরনের অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
টুইটারে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে মুক্তাদা আল–সদর লিখেছেন, ‘আমি চূড়ান্তভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’ তিনি আরও লিখেন, তাঁর ‘সদরীয় আন্দোলনের’ সঙ্গে যুক্ত সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গসংগঠন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তিনি ১৯৯৯ সালে আততায়ীর হাতে নিহত তাঁর পিতার মাজার খোলা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, মুক্তাদা আল–সদরের রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণার পরপরই হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েন তাঁর সমর্থকেরা। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাঁরা বাগদাদের বিখ্যাত স্থাপনা রিপাবলিকান প্যালেসে ভাঙচুর চালায়। এই রিপাবলিকান প্যালেসটি বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনের সরকারি ভবন এলাকার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে অবস্থিত।