হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সিআইএ ও মোসাদ প্রধান কাতারে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়তে পারে

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধানেরা কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছেন। তাঁরা গাজা–ইসরায়েল সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য বসেছেন বলে জানিয়েছেন কাতারের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা। মিসরের গোয়েন্দা প্রধানও কাতারের রাজধানীতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। 

মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়ে এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দোহায় আলোচনায় বসেছেন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, সিআইএ প্রধান বার্নস দোহায় গেছেন চলমান হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধ এবং বন্দী বিনিময় ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে। 

সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রচার মাধ্যমটি জানিয়েছে, বন্দী বিনিময় শুধু নারী ও শিশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরুষ এবং সেনাদেরও মুক্ত করার বিষয়ে উভয় পক্ষকে সম্মত করার প্রচেষ্টা চলছে। সে অর্থে যুদ্ধবিরতিও দীর্ঘায়িত করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। 

গত শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর পর কাতারে গেলেন সিআইএ প্রধান। তিনি বন্দী পুরুষ ও নারী সৈন্যদের মুক্ত করার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করার বিষয়ে উভয় পক্ষকে চাপ দিচ্ছেন বলে মার্কিন সরকারের সূত্রগুলো জানাচ্ছে। 

এর আগে গত ৯ নভেম্বর দোহায় অবস্থান করছিলেন সিআইএ প্রধান। সেখানে মোসাদ প্রধান বার্নিয়েও উপস্থিত ছিলেন। এর দেড় সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্কের নেতৃত্বে ডাকা সভায় আবার ডাক পেলেন সিআইএ প্রধান বার্নস। ৯ নভেম্বরের বৈঠকেই উভয় পক্ষে চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ৫০ জন বন্দিবিনিময়ের বিষয়ে ঐকমত্য হয়। সেই সময় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার। 

এদিকে মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা যদি দ্রুত ঠিকঠাক করা না হয় তাহলে গাজায় রোগের প্রাদুর্ভাবে প্রাণহানির সংখ্যা ইসরায়েলি বোমায় নিহতদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে কাতার জানিয়েছে, উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি আরও ৪৮ ঘণ্টা বর্ধিত করতে রাজি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই সময় গণনা শুরু হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর পর ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ২০০, তাঁরা সবাই হামাসের অভিযানের সময় নিহত হন।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন