ঢাকা: টানা এক যুগ ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই দীর্ঘ শাসনামলে নিজস্ব স্টাইলে সাজিয়েছেন ইসরায়েলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতি। শেষ সময়ে এসে উঠেছে বড় দুর্নীতির অভিযোগ। এ নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই বেশ চাপে ছিলেন ৭১ বছর বয়সী এই কট্টর ইহুদি জাতীয়তাবাদী নেতা। গত মার্চের নির্বাচনে এর প্রতিফলনও ঘটে। সরকারের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তার দল লিকুদ পার্টি। এমনকি সাংবিধানিক সময়সীমার (৪ মে) মধ্যে জোট গঠনেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাতে ব্যাপক রক্তপাতও ঘটিয়েছেন। তাতেও কোনো ফল হয়নি।
এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অবশেষে ইসরায়েলে নেতানিয়াহু যুগের অবসান হতে চলেছে। দেশটির বিরোধী দলের নেতারা নেতানিয়াহুকে হটিয়ে সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন। মধ্যপন্থী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ কট্টর জাতীয়তাবাদী দলের নেতা নাফতালি বেনেটের সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টায় বেনেট জোট বাঁধার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন। এরই মধ্যে ইয়ার লাপিদের দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের বিষয়ে নিজ দল ইয়ামিনা পার্টি থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছেন বেনেট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সরকার গঠনে বিরোধী দলের প্রধান ইয়ার লাপিদকে বেঁধে দেওয়া সময় আগামী বুধবার (২ জুন) শেষ হবে। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সরকার গঠন হলে প্রথম দুই বছর নাফতালি বেনেট প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, লাপিদের সরকার গঠনের বিষয়টি প্রধানত নির্ভর করছে কট্টর জাতীয়তাবাদী দলের নেতা নাফতালি বেনেটের ওপর। কেননা নাফতালি বেনেটের দল ইয়ামিনা পার্টির ১২০ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি আসন পেয়েছে।