ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) গতকাল শনিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পৃথক আক্রমণে আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গত শুক্রবার ভোররাতে ফিলিস্তিনি শহর তুলকারমের কাছে নূর শামস এলাকায় অভিযান শুরু করে এবং গতকাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলিবিনিময় করেছে। এ ছাড়া, নূর শামসের ওপর কমপক্ষে তিনটি ড্রোন ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
ফিলিস্তিনের বেশ কটি উপদলীয় বাহিনীকে একত্রিত করা তুলকারম ব্রিগেড বলেছে, গতকাল তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময় করেছে।
প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দীর্ঘ এবং ৫০ কিলোমিটার চওড়া অঞ্চল পশ্চিম তীর। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল অঞ্চলটি দখল করার পর থেকেই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পশ্চিম তীর।
গতকাল ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সূত্র এবং কর্মকর্তারা এদের মধ্যে একজনকে বন্দুকধারী এবং আরেকজনকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে এবং গুলিবিনিময়ে অন্তত চার সেনা আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, পৃথক একটি ঘটনায় ৫০ বছর বয়সী একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক নিহত হয়েছেন। নাবলুস শহরের দক্ষিণে আল-সাওয়াইয়া গ্রামের কাছে ইসরায়েলিদের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আইডিএফের হামলায় তিনি নিহত হন।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ রোববার জানিয়েছে, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজা ও পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৭৬ হাজার ৯৮০। গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪৮।