হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, নিহত ৫৮০০ 

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী। দেশটিতে এমন নির্বিচার হামলায় বিগত ১৮ দিনে প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে আবার ২ হাজারের বেশি শিশু। রয়েছে বিপুলসংখ্যক নারী ও বয়স্ক ফিলিস্তিনিও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ১৯তম দিনে পড়েছে। সেদিন সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে হামাসের কাছে বন্দী আছে। 

ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী অনবরত অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় নিহতদের প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

এ অবস্থায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের যে স্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি গভীরভাবে অবগত আছেন। তিনি দুই পক্ষের প্রতিই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা ও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বিগত ১৮ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৭৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৫ হাজারেরও বেশি। এই নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৩০০ জনই বিভিন্ন বয়সী শিশু। এ ছাড়া নারী ও বয়স্কদের সংখ্যাও কম নয়। 

গাজা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে গাজার বিভিন্ন অবস্থানকে লক্ষ্য করে রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ৭০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সাত শতাধিক জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু; ৩০৫ জন। ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি নারীরাও। ইসরায়েলি হামলায় সোমবার দিবাগত রাতে ১৭৩ জন নারী নিহত হয়েছে। 

এদিকে ইসরায়েলি অবরোধ ও নির্বিচার হামলায় গাজার স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। জ্বালানিসংকটের কারণে খুব শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। এর বাইরে ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ হাসপাতালই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে, সেগুলো থেকে আর কোনো সেবা পাওয়া সম্ভব নয়। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, গাজার ৭২টি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রের মধ্যে ৪৬টিই বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টি পুরোপুরি কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে। এর বাইরে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে টিকে থাকা চিকিৎসালয়গুলোর কার্যক্রম।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন