ইয়েমেনের রাজধানী সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। আন্তসীমান্ত হামলার কাজে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ব্যবহার করা হচ্ছিল দাবি করে গতকাল সোমবার এ হামলা চালানো হয়।
ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সানার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ইরানের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহী বাহিনী। সেখান থেকেই সৌদি বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হতো। সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন মানবিক ত্রাণ সহায়তার প্রধান কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে বিমান হামলা চালানোর আগে কর্মীদের বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল জাতিসংঘকে। বিমান হামলার সময় নির্দিষ্ট কিছু স্থান বা কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে সৌদি জোট। তবে কোনো পক্ষই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এর বিপরীতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
সানা বিমানবন্দরের যেসব স্থান থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়, বা ড্রোন হামলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেসব স্থানকে লক্ষ্য করে সৌদি জোটের সর্বশেষ হামলাটি চালানো হয়। ২০১৫ সাল থেকে বিমানবন্দরটি বেসামরিক লোকজনের জন্য বন্ধ রাখা হলেও সেখানে জাতিসংঘের সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। এ জন্য হামলার আগে জাতিসংঘকে অবহিত করা হয়েছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সৌদি জোট।
হুতি প্রশাসনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে হামলার বিষয়ে তাদের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সাবা মিডিয়ায় বলা হয়েছে, হামলার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
যদিও সৌদি জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের পরিচালন সক্ষমতা থেকে শুরু করে পরিচালন সম্পর্কিত কোনো কিছুর ওপরই এই হামলার কোনো প্রভাব পড়েনি।