হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

আল-আকসায় সংঘর্ষ, ১৮৪ ফিলিস্তিনি আহত

তেল আবিব: জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় ইসরায়েল পুলিশের ছয় কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন।

পশ্চিম তীরের একটি গ্রামে সম্ভাব্য উচ্ছেদ নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানের শেষ জুমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হন। ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনারা গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল থেকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি ছোঁড়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরাও।

ইসরায়েল পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর , অন্যান্য বস্তু ছুড়ে মেরেছে। এতে ছয় পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে এই হামলার জন্য ইসরায়েল সরকারকে দায়ি করেছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। টেলিভিশনে দেওয়া একটি বিবৃতিতে মাহমুদ আব্বাস বলেন, এই সংঘর্ষের পুরো দায়ভার ইসরায়েল সরকারকে নিতে হবে।

জানা গেছে, আগামী সোমবার পশ্চিম তীরের শেখ জাররাহ গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরায়েলের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জানায়, যদি গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরাইল তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করবে।

হাইকমিশনের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল্লি বলেন, শেখ জাররাহসহ সব জবরদস্তিমূলক উচ্ছেদ বন্ধে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এতে দেশটিকে এমন সব তৎপরতা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে বলপ্রয়োগ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের পরিবেশ তৈরি হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রামটিতে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা সেখানে বিক্ষোভকারীদের মারধর ও তাদের ওপর দূষিত পানি নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

১৯৫৬ সাল থেকে গ্রামটির ২৭টি বাড়িতে ৩৭ ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে ২৮টি শরণার্থী পরিবার ১৯৪৮ সালে জাফা ও হাইফায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মুখে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছিল ।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন