হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় দুই দিনে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের পাঁচবার হামলা, নিহত ৫৬

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় গত দুই দিন বা ৪৮ ঘণ্টায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচটি পৃথক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এসব হামলায় ৫৬ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্যটি দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।

এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা ইসরায়েলি দখলদারি ছাড়াও মার্কিন প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই গণহত্যা সংঘটনের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করি।’

গাজায় গণহত্যা বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা মুক্ত বিশ্বের সব দেশকে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল বন্ধ করার জন্য দখলদার ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানাই।’

গত বুধবার গাজায় ত্রাণের অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও গুলি করেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় গাজার উত্তরাংশে কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণসামগ্রী পেতে ছুটছিল ফিলিস্তিনিরা। গাজার বাসিন্দারা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তখন ত্রাণের অপেক্ষারতদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়।

তবে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল। উল্টো আজ শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, উত্তর গাজায় মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহস্পতিবার গাজার নাগরিকেরা যখন ত্রাণবাহী গাড়ির আগমনের অপেক্ষায় ছিল তখন ‘সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা’ গুলি চালিয়েছে। এরপর গাজাবাসী ত্রাণের ট্রাক লুট করেছে। আর তখনো গুলি চালিয়ে গেছে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার একটি ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্বিচার গুলিতে অন্তত ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছিলেন আরও সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন