অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সহায়তা হিসেবে ২৫ কোটি ডলার দিয়েছে সৌদি আরব। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশটিকে নানাভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে গত বছরের আগস্টেও ইয়েমেন সরকারকে একই পরিমাণ অর্থ দিয়েছিল সৌদি আরব। ইয়েমেন সরকারের বাজেট ঘাটতি ও সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রথম ধাপে এ অর্থ দিয়েছে রিয়াদ।
ইয়েমেনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আল–জাবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘ইয়েমেন সরকারের বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সহায়তার জন্য অনুদানের দ্বিতীয় কিস্তি এডেনে ইয়েমেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে। বেতন, মজুরি এবং ব্যয় মেটানোর জন্য ২৫ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে।’
২০১৪ সালে ইরান–সমর্থিত হুতিরা রাজধানী সানা দখল করার পর ইয়েমেন সরকার দক্ষিণ উপকূলের বন্দর নগরী এডেনে স্থানান্তরিত হয়।
২০১৫ সালে সৌদি আরব হুতিদের ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করে। সৌদি আরব আরোপিত সামুদ্রিক ও আকাশপথ অবরোধের কারণে পরবর্তী যুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে অঞ্চলটিতে বিরোধ দ্রুত কমে আসে। ছয় মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও লড়াই এখনো স্থগিত রয়েছে।
এডেনভিত্তিক সরকার দীর্ঘদিন ধরে মৌলিক সেবা ও বেতন পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হান্স গ্রান্ডবার্গ গত বছর বলেছিলেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ দেশটির সংকট আরও জটিল করে তুলেছে।
গত মার্চে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে ঘোষিত একটি আকস্মিক সমঝোতা চুক্তি ইয়েমেনে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু ওই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হুতিরা লোহিত সাগরে যাতায়াতকারী বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং এ হামলাকে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এ ব্রিটিশ বাহিনী গত মাস থেকেই হুতিদের সক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ইয়েমেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে পারে।