অনলাইন ডেস্ক
অবরুদ্ধ গাজায় দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নানামাত্রিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম দিকে বিমান ও নৌবাহিনীর সহায়তায় গাজায় হামলা চালানো হলেও সপ্তাহ খানিক ধরে অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানও চালাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী ঢুকে পড়েছে অলিগলিতে। এমনকি পৌঁছে গেছে গাজার সৈকতেও।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার সমুদ্র সৈকতে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে। পরে বেশ কয়েকজন সৈন্য মিলে ইসরায়েলি জাতীয় সংগীত ‘হাতিকভা’ বা দ্য হোপ অর্থাৎ আশা গান। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও থেকে থেকে দেখা গেছে, আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জন সেনার একটি দল গাজার সৈকতে হাজির হয়ে কাঠের একটি খুঁটিতে ইসরায়েলের জাতীয় পতাকা উড়ায়। পরে তাদের সেই খুঁটি বালিতে পুতে ইসরায়েলের জাতীয় সংগীত হাতিকভা গাইতে দেখা যায়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় তাঁরা সবাই জাতীয় পতাকাকে স্যালুট করেন।
এদিকে, গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১১ হাজার। আহত হয়েছেন আরও ২৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক নিয়মিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কেবল গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে ১০ হাজার ৭৯০ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৬ হাজার জন। এর বাইরে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ১৭৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২ হাজার ৪৫০ জন।
এদিকে, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গত ৬ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় গত এক মাসে গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে ইসরায়েলি হামলায় একজন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও একই তথ্য জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, যুদ্ধের সময় প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে এক শিশু নিহত হয় ও দুজন আহত হচ্ছে।