অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বের পারচিন ও খোজির সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই দাবি করেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। পারচিন ঘাঁটিটি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এর আগে জানিয়েছিলেন। আর খোজির ঘাঁটিটি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
পারচিন ঘাঁটিতে অতীতে উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। সংস্থাটির আশঙ্কা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্ফোরণের জন্যও এই ঘাঁটি ব্যবহৃত হতে পারে। যদিও ইরান বহুদিন ধরে তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে তবে, আইএইএ এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বলছে, ইরানের একটি সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ছিল যা ২০০৩ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।
অন্যদিকে, খোজির ঘাঁটিতে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলায় এই স্থাপনাগুলোরও ক্ষতি হয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনী এই দুই ঘাঁটিতে কোনো ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবে জানিয়েছে, হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনাকারী চার সৈন্য নিহত হয়েছেন।
এই হামলার পর ইরানের জাতিসংঘ মিশন এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তেহরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি স্থাপনাগুলোও ভবিষ্যতে হামলার জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, কারণ এই হামলায় সেগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।