অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে একটি ছোট জলযানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে। হুতিদের হামলায় গ্রিক মালিকানাধীন পণ্যবাহী জাহাজটিতে পানি উঠে গিয়েছিল। এরপর হোদেইদাহে লোহিত সাগরের বন্দরের কাছে জাহাজটি উদ্ধার করা প্রয়োজন হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গতকাল বুধবার কার্গো জাহাজটিতে এই হামলা হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জাহাজটির মালিকানার সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা–ও স্পষ্ট নয়।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুদ্ধরত ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং এর সবচেয়ে জনবহুল এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজ চলাচলে বাধা দিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে তারা।
এরই মধ্যে তারা একটি জাহাজ ডুবিয়েছে, আরেকটি জাহাজ জব্দ করেছে এবং বেশ কয়েকটি আক্রমণের মাধ্যমে তিনজন নাবিককে হত্যা করেছে।
হুতিরা বলেছে, তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল টিউটর নামের কয়লাবাহী জাহাজ। মনুষ্যবিহীন একটি সারফেস বোট, ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জাহাজটিকে লক্ষ্যবস্তু করার পর এটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে ছিল।
মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে গতকাল বুধবার জানিয়েছে, জাহাজটি হোদেইদাহ থেকে প্রায় ৬৮ নটিক্যাল মাইল (১২৬ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেলের আঘাতে জাহাজটিতে পানি ঢুকে ইঞ্জিন রুমের ক্ষতি হয়েছে। এটি ছিল হুতিদের প্রথম কোনো নৌকাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা।