নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্থাৎ অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া ৩১ শিশু গাজার আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে ছিল। এর মধ্যে থেকে অবশেষে ২৮ জনকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে মিসরে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩ শিশুকে আল-শিফা হাসপাতালেই রেখে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৫ জন মেয়ে ও ১৬ জন ছেলে নবজাতকের নাম সহ একটি নথি প্রকাশ করে। ওই নথিতে মিসরে যাওয়ার পথে শিশুদের সঙ্গে তাদের বেঁচে থাকা স্বজনদের থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।
তবে ওই ৩১ শিশুর মধ্যে বেশ কয়েকজনই ইতিমধ্যে এতিম হয়ে গেছে। ফলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাদের মিসরে পাঠানো হয়। বাকি আরও কয়েক শিশুকে মিসরে পাঠানোর অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করেন তাদের বেঁচে থাকা বাবা-মা।
এদিকে শেষ পর্যন্ত ২৮ নবজাতককে পাঠানো হলেও বাকি থেকে যায় ৩ জন। এর মধ্যে দুজনকে মিসরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তাদের বাবা-মা। আরেকজন শিশুর বাবা-মা কিংবা কোনো স্বজনকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু ওই শিশুটির বিষয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে।
তৃতীয় শিশুর বিষয়ে গাজার অ্যামিরাতি হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ সালামা বলেন—‘গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুটিকে মিসরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তার অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। ফলে চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন নেই।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিসরে না পাঠানো তিন শিশুর অবস্থাই স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সালামা।