ডয়চে ভেলে
দুই দিনের সফরে মিসরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরে একগুচ্ছ সমঝোতা ছাড়াও মোদিকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে মিসর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মিসরের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘অর্ডার অব নাইল’ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করে বলেছেন, ‘বন্ধুত্বের চিহ্ন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই সম্মান দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এল-সিসি।’
মোদি কায়রোয় আল-হাকিম মসজিদেও যান। পরে তিনি টুইট করে বলেন, ‘ঐতিহাসিক আল-হাকিম মসজিদে গিয়ে সম্মানিত বোধ করছি। মিসরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষী এই মসজিদ।’
মোদি এরপর হেলিওপোলিসের সমাধিস্থলেও যান। সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি এল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিতে পরিণত করা নিয়ে একটা চুক্তিতে সই হয়। এ ছাড়া কৃষি, পুরাতত্ত্ব, বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতায়ও সই হয়।
ওবামার বক্তব্য ও নির্মলার জবাব
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, মোদির সঙ্গে বৈঠকে তিনি ভারতে মুসলিমদের প্রসঙ্গ তুলবেন এবং মোদির মতামত জানতে চাইবেন। আমেরিকায় সংবাদ সম্মেলনে মুসলিমদের প্রসঙ্গে মোদি বলেন, তিনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতি নিয়ে চলছেন। ভারতে কারও প্রতি কোনো রকম ভেদাভেদ করা হয় না।
এর পরই ভারতে বিরোধী দলগুলো মোদির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি যে ১৩টি সম্মান পেয়েছেন, তার মধ্যে ছয়টি পেয়েছেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে।’
ওবামা প্রসঙ্গে সীতারামন বলেছেন, ‘যে সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে এসব কথা বলছেন, তার আমলে মুসলিমপ্রধান ছয়টি দেশে ২৬ হাজারের বেশি বোমা ফেলেছিল আমেরিকা। তার এসব কথা এরপর কে বিশ্বাস করবে?’