অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একই ধরনের পরোয়ানা জারি করা হয়েছে হামাস নেতা মোহাম্মদ দায়েফের (সম্ভবত নিহত) বিরুদ্ধেও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের সম্ভাব্য বিদেশ সফরকে প্রভাবিত করবে। কারণ, যেসব দেশ রোমা স্ট্যাটিউট বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সেসব দেশ সফর করলে তাঁরা গ্রেপ্তার হতে পারেন। আর হামাস নেতা মোহাম্মদ দায়েফ সম্ভবত ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তাঁর ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান গত মে মাসে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তাঁরা গাজায় গণহত্যা সৃষ্টির জন্য অপরাধমূলক দায়িত্ব পালন করেছেন, যা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।’
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বলেছে, দায়েফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যার মধ্যে হত্যা, অত্যাচার, ধর্ষণ এবং অপহরণ অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির যুদ্ধাপরাধের পরোয়ানা সমর্থন করলেও নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আদালতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। এর ফলে বাইডেন প্রশাসনকে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিমুখী আচরণের অভিযোগ অভিযুক্ত করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তা খুব এক কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছু রাষ্ট্র এরই আগে আইসিসির পরোয়ানা উপেক্ষা করেছে।