অনলাইন ডেস্ক
ইরাক ও সিরিয়ায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোয়েন্দা দপ্তর ও সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বিষয়টি জানিয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনা নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস একটি (মোসাদের) গুপ্তচর সদর দফতর ধ্বংস করা এবং এই অঞ্চলের কিছু অংশে ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমাবেশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণা দিয়েছে।’ ইরনা আরও বলেছে, ‘এই সদর দফতর এই অঞ্চলে গুপ্তচরবৃত্তি এগিয়ে নেওয়া ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল।’
ইরানের সংবাদ সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর সদর দফতর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ধ্বংস করেছে। ফারস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরবিলে হামলায় অন্তত চার বেসামরিক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ছয়জন। কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে ইরানের হামলাকে ‘অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
চলতি মাসে ইরানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বিপ্লবী গার্ড সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আইআরসিজির নিজস্ব সংবাদমাধ্যম সিপাহ নিউজ বলেছে, ‘ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস...সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রধান উপাদানগুলোর সমাবেশের স্থানগুলো চিহ্নিত করেছে বিশেষ করে, আইএসআইএসের (দায়েশ) কার্যক্রমের স্থানগুলো। বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তাদের ধ্বংস করেছে।’
ইরানের এই হামলার পর দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কোনো মার্কিন স্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি এবং কোনো ঘাঁটিতেই হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের ইরবিলেরর যে অঞ্চলে হামলা হয়েছে, তা ইরবিল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। বিস্ফোরণস্থল স্থানীয় মার্কিন কনস্যুলেট ও বেসামরিক বাসস্থানের কাছাকাছি একটি এলাকায়।