অনলাইন ডেস্ক
ত্রাণসহায়তা নিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় প্রবেশ করেছে ২০০ ট্রাক। যুদ্ধ শুরুর প্রায় সাত সপ্তাহ পর এই প্রথম বড় ধরনের কোনো ত্রাণসহায়তা পেতে যাচ্ছে গাজাবাসী। ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চার দিনব্যাপী সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে হামাস বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও ইসরায়েলিসহ ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েল কারাগারে বন্দী থাকা ৩৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর ৪৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এই প্রথম গাজায় এই বিপুল পরিমাণ ত্রাণসহায়তা পৌঁছাল। শর্ত অনুসারে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চার দিনের প্রতিদিন ২০০ ট্রাক করে ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে দেবে গাজায়। তবে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে ইসরায়েল কেবল চার দিন ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে দিলে তা হবে অপ্রতুল। তাই বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য মানা সহজ হবে না।
ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কো-অর্ডিনেশন অব গভর্নমেন্ট অ্যাকটিভিটিস ইন দ্য টেরিটোরিস বা সিওজিএটি (যদি এই কর্তৃপক্ষ বর্তমানে খুব একটি সক্রিয় নয়) জানিয়েছে, ‘ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোতে খাবার, পানি, আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ এবং চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে।’
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, এরই মধ্যে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শ্রম সংস্থার লোকজন ১৩৭ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা গাজায় নামিয়েছে। ১ লাখ ২৯ হাজার লিটার জ্বালানি তেল ও চার ট্রাক গ্যাস প্রবেশে করেছে গাজায়।
ওসিএইচএ জানিয়েছে, সারা দিনে কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মানবিক সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জাতিসংঘ দুই পক্ষের মধ্যে বন্দিবিনিময় ও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে।