বিক্ষোভে জড়িত থাকায় ইরানে একদিনে ২৯ জনের ফাঁসি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১০: ৩২

ইরানে এক দিনে ২৯ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। গত বুধবার তাঁদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। দেশটির অধিকারকর্মীরা জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি কারাগারেই ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। এমন সময়ে এই ঘটনা ঘটল, যখন ২০২২ সালে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গত মঙ্গলবার ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে, তেহরানের বাইরে খারাজের গেজেলহেসার কারাগারে ২৬ জনকে ও কারাজ শহর কারাগারে ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন আফগানিস্তানের নাগরিক রয়েছে। তাঁরা খুন, মাদক ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরও দুই সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি ও সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ইন ইরানও জানিয়েছে, কারাজে কমপক্ষে ২৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। 

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হিজাবনীতি ভঙ্গ করার অভিযোগে দেশটির নীতি পুলিশ মাসা আমিনি নামে এক তরুণী আটক করেছিল। পরে পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। মাসার পরিবারের দাবি, মাসাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এর পর থেকে ইরানে ভিন্নমত কঠোর হাতে দমন করছে সরকার। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, যেকোনো দেশের তুলনায় ফাঁসির সাজা ইরানে বেশি হয়। 

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম বলেন, ইরান সরকার আগামী কয়েক মাসে যে হত্যাকাণ্ড চালাবে তা থামিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্যোগ দরকার। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ফাঁসিতে হত্যাকাণ্ড বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

২০২২ সালে যখন ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় তখন দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের এক সদস্য নিহত হয়েছিলেন। এই হত্যার বিচারে একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তাঁকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। 

এদিকে ইরানে এভাবে ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক মহল সোচ্চার হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার এর কড়া সমালোচনা করেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভিসা ও ইকামার ফি বাড়াল সৌদি আরব

ফেব্রুয়ারিতে যৌথ মহড়া দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নৌবাহিনী

পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাবে সিরিয়াজুড়ে বিতর্ক

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি নির্মাণ করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা