আওনি এলদৌস, ১২ বছরের ফিলিস্তিনি কিশোর। ভিডিও গেম নিয়ে মেতে থাকত সে। গত অক্টোবরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চিরদিনের মতো নীরব হয়ে গেছে উচ্ছল কিশোর এলদৌস।
তার মৃত্যুর পরের সপ্তাহগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এলদৌসের একটি স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছে। এলদৌসের স্বপ্ন ছিল তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার একদিন ১০ লাখের মাইলফলক ছুঁবে। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়েছে। এলদৌসের ইউটিউব চ্যানেলের বর্তমান সাবস্ক্রাইবার ১ দশমিক ২৬ মিলিয়ন বা ১২ লাখ ৬০ হাজার।
এলদৌস ছিল রেসিং গেম, শুট’এম আপস এবং ফুটবল সিমসের পাঁড় ভক্ত। গত বছরের আগস্টে সে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১ হাজার পৌঁছাতে সাহায্য করার জন্য ভক্ত অনুসারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে সে তার চূড়ান্ত লক্ষ্যের কথাও সবিস্তারে বলে।
সেই ভিডিওতে এলদৌস বলে, ‘আমি আওনি এলদৌস, গাজার একজন ফিলিস্তিনি। আমার বয়স ১২ বছর। এই চ্যানেলের লক্ষ্য হলো ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারে পৌঁছানো এবং ৫ লাখ, এরপর ১০ লাখ। আর আল্লাহর ইচ্ছা আর আপনাদের সমর্থন ও ভালোবাসায় ১০ মিলিয়ন গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে চাই।’
এলদৌসের ইউটিউব চ্যানেলের মন্তব্য বিভাগে অনেকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বার্তা রেখে গেছেন। এলদৌস জীবিত থাকাকালীন তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা না করার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অনেকে।
অক্টোবরের শুরুতে ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪ হাজারই শিশু। গাজার শিশুদের নিয়তিই যেন বিমূর্ত হয়ে উঠেছে এলদৌসের এই ঘটনায়। যুদ্ধে গাজার শিশুরা মরে বোমার আঘাতে, বিনা চিকিৎসায়, ক্ষুধা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে। যুদ্ধ এক সময় ঠিকই থেমে যায়, সীমান্ত দিয়ে সারি সারি ট্রাকে প্রবেশ করে ত্রাণ, কিন্তু তাদের কচি হাত, উজ্জ্বল চোখ তখন কীটের খাদ্য!