সৌদি আরব নির্ধারিত বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত আইনও পাস করেছে দেশটি। এই বছরের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই আইনে সম্মতি দেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মক্কা আল-মুকাররামার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই আইন পাসের বিষয়টি প্রকাশ করেছে। এর আগে গত শুক্রবার সৌদি আরবের সরকারি গেজেট উম আল কুরায় নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীটি প্রকাশিত হয়।
এ বছরের জানুয়ারিতে সৌদি নাগরিকত্ব আইনের ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের জন্য একটি ডিক্রি জারি করা হয়, যা ১৩ মার্চ অনুমোদন হয়। ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, মা সৌদি নাগরিক ও বাবা বিদেশি—এমন যে কেউ সৌদি আরবের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই তাঁকে আরবি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারতে হবে। ভালো চরিত্র ও ব্যবহার এবং ছয় মাসের বেশি কারাবরণের রেকর্ড থাকা যাবে না।
যা-ই হোক, ইতিমধ্যে অনেক অ্যাক্টিভিস্ট এই আইনের সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, সৌদি নারীদের সন্তানদের নাগরিকত্বের জন্য এই আইন আরও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করা যেকোনো সৌদি পুরুষের সন্তানেরা কোনো আইনি বাধা ছাড়াই নাগরিকত্ব পান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সৌদি আরব বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের বিশেষ প্রতিভাবানদের জন্য নাগরিকত্বের দ্বার খুলে দেয়। সৌদির আগে ইউনাইটেড আরব আমিরাত এই উদ্যোগ নিয়েছিল। নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়াকে সহজীকরণের অংশ হিসেবেই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছিল।