অনলাইন ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য ত্রাণবাহী দ্বিতীয় জাহাজের বহর আজ শনিবার সাইপ্রাস থেকে যাত্রা শুরু করেছে। সমুদ্রপথে ত্রাণ নিয়ে প্রথম বহরটি গাজায় পৌঁছানোর দুই সপ্তাহেরও বেশি পরে দ্বিতীয় দফায় গাজার উদ্দেশে সাহায্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন এবং স্প্যানিশ ওপেন আর্মস নামের দুটি দাতব্য সংস্থা দ্বারা পরিচালিত ত্রাণবাহী জাহাজের বহরটিতে প্রায় ৪০০ টন সাহায্য গাজায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে গাজা উপত্যকা। অঞ্চলটিতে একটি সামুদ্রিক করিডর খোলার চেষ্টা করার জন্য সাইপ্রাসের কূটনীতির পর একটি রণতরী এবং দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ লার্নাকা বন্দর ছেড়ে যায়। ত্রাণবাহী বহরটির গাজায় পৌঁছাতে প্রায় ৬৫ ঘোঁটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সাইপ্রাস নিউজ এজেন্সি।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন জানিয়েছে যে, তাদের পাঠানো চালানে চাল, পাস্তা, ময়দা, লেবু, টিনজাত শাকসবজি এবং প্রোটিনের মতো আইটেম রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত খেজুরের একটি বিশেষ কার্গো পাঠিয়েছে গাজায়। পবিত্র রমজান মাসে রোজা ভাঙার জন্য মুসলিমরা ঐতিহ্যগতভাবেই খেজুর খায়।
গাজায় মানবিক সহায়তা খালাস করার জন্য একটি অস্থায়ী ডক নির্মাণ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ৩২ হাজার ৬২৩ জন নিহত হলো। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। আদেশে বিচারকেরা বলেছেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো, গাজার ফিলিস্তিনিরা আর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতেই কেবল নেই, বরং ইতিমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।’