অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবের মরুভূমিতে হঠাৎ জেগে উঠেছে মাছ আকৃতির বিশাল এক পাথুরে কাঠামো। অন্য সময় হলে হয়তো কাঠামোটিকে দৃষ্টিবিভ্রম বা মরীচিকা বলে উড়িয়ে দেওয়া যেত, কিন্তু ফটোগ্রাফার খালেদ আল-ইনাজির ক্যামেরায় দৃশ্যটি বন্দী হওয়ার পর সেটিকে আর কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের আল-উলা অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আল-ইনাজি ড্রোন ব্যবহার করে মরুর বুকে ছবি তুলছিলেন। এমনটি করতে গিয়েই তাঁর ড্রোনের ক্যামেরায় অস্বাভাবিক গঠনের ছবি ধারণ করেন। এই অঞ্চলকে জর্ডানের প্রাচীন পেত্রা শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী চিহ্নিত করে থাকেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।
আল-ইনাজি সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমি যখন এলাকাটির দৃশ্য রেকর্ড করছিলাম, তখন আমার সামনে পাহাড়ের মতো একটি দৃশ্য দেখা গেল। এর গঠন মরুর বুকে একটি মাছের ইঙ্গিত দেয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সম্ভবত আমি প্রথম ব্যক্তি নই যে এমন গঠনের পাথুরে আকৃতির মুখোমুখি হয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমিই প্রথম এম কৌতূহলোদ্দীপক আকৃতি দেখতে পেয়েছি। কারণ, একজন ফটোগ্রাফারের চোখ সাধারণ মানুষ যা দেখে না তা দেখতে পায়।’
ফটোগ্রাফার আল-ইনাজি কাঠামোটির নাম দিয়েছেন ‘মরুর পাথুরে মাছ’। চলতি বছরের জুনে আল-ইনাজির রেকর্ড করা ড্রোন ফুটেজ থেকে দেখা গেছে—পাথরের কাঠামোটি সোনার বালুর মধ্য দিয়ে সাঁতার কাটছে এমন একটি মাছের মতো। যার পিঠে পাখনাও রয়েছে, যা দেখে মনে হতে পারে—এটি একটি হাঙর হতে পারে, যা তার শিকারকে যেকোনো সময় তাড়া করতে পারে।