হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

রাফাহে ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৬ 

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত একটি আশ্রয়শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আহত হয়েছে আরও ২৪৯ জন। হতাহতদের একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

গাজায় গত ৭ অক্টোবর নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকা থেকে রাফাহ শহরের ওই আশ্রয়শিবিরটিতে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার মানুষ। গত রোববার রাতের হামলায় বাস্তুচ্যুত মানুষের সেই আশ্রয়শিবিরও রেহাই পায়নি। বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমার আঘাতে শিবিরের তাঁবুগুলো পুড়ে যায়। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, আশ্রয়শিবিরে তাঁবুর ভেতর নারী ও শিশুসহ অনেকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যায়। 

স্থানীয় সময় গত রোববার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে আশ্রয়শিবিরটিতে অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইড ইউকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিরপরাধ বেসামরিকদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। তারপরও তাদের নৃশংস সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। নারী, শিশুসহ লোকজনকে আশ্রয়শিবিরে তাদের তাঁবুর মধ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর এমন নৃশংসতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়শিবিরে দখলদার বাহিনী যে ভয়ংকর গণহত্যা চালিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত অঞ্চল এবং বিদেশে অবস্থানরত আমাদের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানাই। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গতকাল সোমবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সংগঠনটি বলছে, কিছু সাংবাদিককে স্বেচ্ছায় হত্যা করা হয়েছে এবং বাকিরা বেসামরিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) নির্বিচার হামলার ভুক্তভোগী। 

আরএসএফের অ্যাডভোকেসি ও অ্যাসিস্ট্যান্স পরিচালক অ্যান্টন বার্নার্ড বলেন, ‘যারা সাংবাদিকদের হত্যা করে, তারা জনগণের তথ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে হামলা করছে। সংঘাতের সময় এই অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।’ 

এদিকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান দানি ইয়াতম বলেছেন, ‘হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। সোজা কথায় বললে, যে চূড়ান্ত বিজয়ের কথা ইসরায়েল বলে, তা অর্জিত হবে না। একই সঙ্গে, গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ 

ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই গোয়েন্দাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, হামাস প্রতিনিয়ত সাফল্য অর্জন করছে। এই অবস্থায় ইসরায়েলি অবস্থান থেকে কিছুটা ছাড় দিয়ে জিম্মিদের ফেরাতে যা যা প্রয়োজন সবকিছু করার প্রস্তুতি থাকতে হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ইসরায়েলের ব্যর্থতা মনে করেন হিজবুল্লাহ প্রধান

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে: কাতার

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যা আছে

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন, কার্যকর রোববার

ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন, মন্ত্রিসভার সম্মতির অপেক্ষা

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত, একদিন পিছিয়ে কার্যকর হতে পারে সোমবার থেকে

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করল ইসরায়েল, অনুমোদনে মন্ত্রিসভার বৈঠক আজ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েও গাজায় ব্যাপক হামলা চালাল ইসরায়েল

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কী আছে

অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস ও ইসরায়েল

সেকশন