Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় আইএস নেতাকে হত্যার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক

সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় আইএস নেতাকে হত্যার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএসআইএস) এক নেতাকে হত্যার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় আইএস নেতা ওসামা আল-মুহাজের নিহত হয়েছেন।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, আমরা আইএসআইএসের পরাজয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইএস শুধু এই অঞ্চলের জন্যই নয় বাইরেও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সেন্টকম দাবি করেছে, ওই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি। তবে দিনের শুরুতে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোকে রুশ যুদ্ধবিমান তাড়া করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ড্রোনগুলোকে তাড়া করে রুশ যুদ্ধবিমান। শুক্রবারের ওই হামলায় এমকিউ-৯এস ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল অ্যালেক্সাস গ্রিঙ্কেউইচ বলেন, রুশ বিমানগুলো ড্রোনের সামনে অগ্নিশিখা ফেলছিল এবং বিপজ্জনকভাবে খুব কাছাকাছি উড়ছিল। এতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

এর আগে বুধবার, তিনটি রুশ বিমান মার্কিন ড্রোনের সামনে প্যারাসুট ফেলে। এতে মার্কিন ড্রোনগুলো সরে যেতে বাধ্য হয়। এদিকে মস্কোকে ‘এই বেপরোয়া আচরণ বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন গ্রিঙ্কেউইচ।

এর আগে গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় আইএসের এক শীর্ষ নেতা নিহত হন। হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালানোর সময় তিনি নিহত হন। সে সময় ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো ওই অভিযানের মূল টার্গেট ছিলেন আব্দ আল হাদি মাহমুদ আল হাজি। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

ওই বিবৃতিতে আব্দ আল হাদিকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং আইএসের নেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জাতিসংঘের ধারণা, সিরিয়া ও ইরাকে এখনো ৬ থেকে ১০ হাজার আইএস সদস্য রয়েছেন। তারা সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকেন।

আইএসের আঞ্চলিক সহযোগী গোষ্ঠীগুলো বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আইএসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্কগুলো এখনো আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও লেক চাদ এলাকায় রয়ে গেছে। অপরদিকে সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রায় এক হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজা পুনর্গঠনে ৫৩০০ কোটি ডলারের পরিকল্পনা: সমর্থন জাতিসংঘের, ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান

হুতিদের ফের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র

গাজা পুনর্গঠনে ট্রাম্পের বিকল্প প্রস্তাবে সম্মত আরব বিশ্ব, ব্যয় ৫৩০০ কোটি ডলার

রোজার মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২, পানি–বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

হামাস নয়, গাজা শাসন করবে ‘আন্তর্জাতিক প্রশাসন’, আরও যা আছে প্রস্তাবে

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারতীয় নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

গাজা পুনর্গঠনে জরুরি বৈঠকে বসছে আরব দেশগুলো

গাজাবাসীদের মিসরের সিনাইয়ে পাঠানোর প্রস্তাব ইসরায়েলি আইনপ্রণেতার

অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনায় সাংবিধানিক ঘোষণাপত্র তৈরি করছে সিরিয়া

গাজায় রমজান: ধ্বংসস্তূপের মাঝে বিশ্বাসে অবিচল