অনলাইন ডেস্ক
কনটেন্ট নির্মাতা ডনতাই এবং কাওরি লিওনার্ড হলেন এমন দম্পতি যাদের ধর্ম আলাদা। সম্প্রতি তাঁরা লন্ডন থেকে দুবাইয়ে স্থানান্তরিত হয়েছেন। স্বামী ডনতাইয়ের কাছে এবারের রমজান মাস একটি বিশেষ উপলক্ষ। কারণ তিনি প্রথমবারের মতো কোনো মুসলিম প্রধান দেশে এই মাসটি পাড়ি দিচ্ছেন। বিশেষ এই মাসে একসঙ্গে উপোস থাকার মধ্য দিয়ে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী কাওরি লিওনার্ডও।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ নাগরিক ডনতাই ১৩ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন এবং পরিবারের একমাত্র মুসলিম সদস্য হওয়ায় নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে ইচ্ছা থাকলেও তিনি রোজা রাখতে পারতেন না। বাড়িতে অহরহই শূকরের মাংস রান্না করে ভূরিভোজ করা হতো, মুসলিম ধর্মে যা নিষিদ্ধ।
তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে শুরু করেছিলেন ডনতাই। এতে মুসলিম ধর্মের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডনতাই ও কাওরি দম্পতি জানান, তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলে ৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তাই কনটেন্ট নির্মাণ করেই সারা দিন তাঁদের ব্যস্ত সময় কাটে। এরপরও ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকেও তাঁরা অগ্রাধিকার দেন। বিশেষ করে চলমান রমজান মাসে ডনতাইয়ের সঙ্গে রোজা রাখতে শুরু করেছেন কাওরিও।
রোজা রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাওরি জানান, স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এটি তাঁর জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী যা ভালোবাসেন এবং অনুশীলন করেন তার অংশ হতে পারাটা আনন্দের। তার জন্য রমজান গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি তার এই অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে চাই। তার সঙ্গে রোজা রাখতে চাই। এটি আমাদের আরও বেশি কাছাকাছি নিয়ে আসবে।’
ডনতাই তাঁর স্ত্রীর সমর্থনের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে, সে আমার সঙ্গে উপোস থাকছে। আমি তাকে নিয়ে খুব গর্বিত।’
জন্মগতভাবে কাওরি অর্ধেক ইতালীয় এবং অর্ধেক ভেনেজুয়েলার। প্রথম দিকে সারা দিন উপোস থাকা তাঁর জন্য অনেক কঠিন একটি বিষয় ছিল। লন্ডনেও স্বামীর সঙ্গে তিনি একবার এটি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর শহরটির প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং স্বতঃস্ফূর্ততা বিষয়টিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।
কাওরি বলেন, ‘দিনটি দ্রুত চলে যায়। রোজা ভাঙার মুহূর্তটিকে পুরস্কারের মতো মনে হয়।’