মাদক পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৬ জন ইরানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব। আজ বুধবার সৌদি প্রেস এজেন্সি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সৌদি আরবের উপসাগরীয় উপকূলের শহর দাম্মামে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে এই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সেই সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ইরানিরা গোপনে হাশিশ সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করিয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে সৌদি আরব মাদক পাচারের দায়ে মোট ১১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে সৌদি আরবে একটি ব্যাপক প্রচারিত মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে সেই অভিযানের মাধ্যমে বহু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, দুই বছর আগে মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের মরেটরিয়াম (অস্থায়ী স্থগিতাদেশ) শেষ হওয়ার পর থেকে মাদক পাচারকারীদের মৃত্যুদণ্ডের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ সালে শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় ইরানের তেহরানে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল সৌদি দূতাবাস। পরে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। যদিও ২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় পরে আবারও দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সৌদি আরব বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। সেবার সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল চীন এবং তালিকাটিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইরান।
সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের নিয়ম নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রায় সময়ই সমালোচনা করে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, মৃত্যুদণ্ড জনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় এবং এটি কেবলমাত্র সব ধরনের আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কার্যকর করা হয়।