ইদ্দতকাল পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ইমরান খান ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবি। বৃহস্পতিবার এই দণ্ড বাতিলের জন্য একটি আবেদন করলে তা খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, করাচির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আফজাল মাজোকা বৃহস্পতিবার সংরক্ষিত এই রায় ঘোষণা করেন। তবে পাকিস্তানের আইনজীবী, নারী অধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে তাঁরা ‘নারীদের মর্যাদা এবং গোপনীয়তার অধিকারের ওপর আঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন।
সাজা বহাল রাখার পর রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইসলামের নেতা ওমর আইয়ুব রায়ের সমালোচনা করে জানিয়েছেন, দল থেকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে।
মুসলিম বিবাহ আইনে বিচ্ছেদের পর ইদ্দতের ৯০ দিন পাড়ি দেওয়ার আগেই বুশরা বিবি ও ইমরান খান বিয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁরা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিলেন—এমন অভিযোগে মামলাটি করেছিলেন বুশরার সাবেক স্বামী খাওবার মানেকা। এই মামলার শুনানিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বুশরা এবং ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে পাঁচ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেন একটি আদালত। কাছাকাছি সময়েই আরেকটি তোশাখানা মামলায় এই দম্পতিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।