হোম > বিশ্ব > পাকিস্তান

পিপিপির ওপর সেনাবাহিনী দিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে পিএমএল-এন

পাকিস্তানে নির্বাচন হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলেছে। এখনো নিশ্চিত হয়নি কারা আসবে সরকারে। কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট গঠনই হয়ে উঠেছে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায়। এই আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। তবে ক্ষমতা ভাগাভাগির কৌশল নিয়ে এখনো একমত হতে পারেননি তাঁরা।

এদিকে জোট সরকার গঠনে সময়ক্ষেপণের ‘পরিণতি’ সম্পর্কে পিপিপি এবং পিএমএল-এন নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। পিপিপির অভ্যন্তরীণ সূত্র পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের কাছে স্বীকার করেছে, পিএমএল-এনের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য দলটি ‘ব্যাপক চাপের’ সম্মুখীন হচ্ছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি সন্দেহ প্রকাশ করেছে, জোট সরকারে যোগদানে পিপিপিকে বাধ্য করার জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নিজেদের প্রভাবকে কাজে লাগাতে পারে পিএমএল-এন।

এমন চাপের মুখে পিপিপি কী করতে পারে, সে বিষয়ে ওই নেতা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় দলটি পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। সে ক্ষেত্রে পিপিপির সামনে আরেকটি সুযোগ আসতে পারে, তা হলো দলের কাউকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব।

তিনি বলেন, পিপিপি নেতারা হয়তো জনসমক্ষে বলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রিত্ব চান না। কিন্তু এই সুযোগ যদি নিজেই তাদের সামনে এসে হাজির হয়, তাহলে সেটি হাতছাড়া করার সম্ভাবনা কম।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের তথ্যমতে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এককভাবে সর্বোচ্চ ৯৩ আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ আসনে জিতেছে পিএমএল-এন। ৫৪ আসন পেয়ে তৃতীয় হয়েছে পিপিপি।

এ অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের ঘোষণা দেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বাবা ও পিপিপি নেতা আসিফ আলী জারদারি। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন অন্যান্য দলীয় প্রধানরাও।

জারদারি জানান, জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছয়টি দল। সেগুলো হলো—পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) এবং ইস্তেহাকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি)।

তবে এরপর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে পারেনি এই জোট। সরকার ও সাংবিধানিক পদগুলোর কে কোনটি দখলে রাখবে তা নিয়ে চলছে তীব্র দর-কষাকষি।

প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিজেদের লোক বসাতে চায় পিপিপি। তবে কোনো মন্ত্রিত্ব নিতে রাজি নয় তারা।

বিপরীতে, পিএমএল-এন চায় প্রধানমন্ত্রীর পদ তাদের থাকুক। পাশাপাশি, জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় অংশ নিক পিপিপি। মূলত এগুলো নিয়েই এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি পিএমএল-এন এবং পিপিপি।

‘ন্যায়বিচারের দুয়ার বন্ধ’, রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিতে বললেন ইমরান খান

নতুন মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড

ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে ৩২ হাজারের বেশি পাকিস্তানি বহিষ্কার

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার দৃশ্যপটে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, পাকিস্তানে গৃহদাহের শঙ্কা

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত পাঠদান

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানের ১৪ বছর কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নত প্রযুক্তি কিনল পাকিস্তান

পাকিস্তানের সরকার নয়তো জঙ্গি—যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ আফগান তালেবানকে

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন