কারারুদ্ধ ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরই পছন্দের প্রার্থী ব্যারিস্টার গহর আলী খান। আর মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান।
আজ শনিবার সকালে পিটিআইয়ের নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন বলে পাকিস্তানের জিও টিভির খবরে বলা হয়।
নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি বলেন, পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় ভোটকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল পেশোয়ারের রানো গারহি এলাকায়। সব প্রার্থী ও প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
এ ছাড়া আলী আমিন গেন্দাপুর খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ও ইয়াসমিন রশিদ পাঞ্জাব প্রদেশে পিটিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটের তত্ত্বাবধানে ছিলেন দলটির খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রিসাইডিং অফিসার আলী জামান। তিনি বলেন, পেশোয়ারে কেন্দ্রীয় ভোটকেন্দ্রে অনলাইন অ্যাপ ও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইমরান খানের আইনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ার মাধ্যমে আইনি বিষয়গুলো পরিচালনা করা এবং এসব বিষয়ে পার্টির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হন ব্যারিস্টার গহর। পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল-সংক্রান্ত মামলা এবং ইমরান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অবমাননার মামলা পরিচালনার মাধ্যমে পার্টিতে তাঁর ভূমিকা আরও প্রসারিত হয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক মামলা হয়েছে। তোশাখানা (রাষ্ট্রীয় উপহার) দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলাটির সাজা আপাতত স্থগিত থাকলেও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের মামলায় এখন কারাগারে রয়েছেন তিনি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে পিটিআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়ে ছিল জল্পনা-কল্পনা। দলটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শের আফজাল খান মারওয়াতের এক মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান পদের জন্য আগামী দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না ইমরান খান। তবে পরে আফজালের সেই দাবি তখন অস্বীকার করে পিটিআই।
ইমরান খান গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।