ইউক্রেন সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনে (ওআইসি) দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের শুরুতে বক্তৃতাকালে তিনি ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রতি এই আহ্বান জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ওআইসির এই সম্মেলনে প্রথমবারের মতো চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই উপস্থিতি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইমরান খান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এই প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধ ‘বিশ্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে’—সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘বিশ্বের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটি থেকে তেল, গ্যাস এবং গমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে পৃথিবী এরই মধ্যে ভুগতে শুরু করেছে।’
ইসলামাবাদে চলমান ওআইসি বৈঠকের ১০০ টিরও অধিক ধারা বিশিষ্ট একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো আর্থিকভাবে জর্জরিত আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহায়তা এবং বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণের প্রতি সমর্থনদানের বিষয়টিও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর উভয় অঞ্চলের জনগণকে হতাশ করেছি। আমরা দুঃখিত যে—আমরা সেখানে কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা (মুসলিম) ১৫০ কোটি মানুষ অথচ এ সব নির্মম অন্যায় বন্ধে আমাদের আওয়াজ অতি তুচ্ছ।’