অনলাইন ডেস্ক
উইঘুর ইস্যুতে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, চীনের জিনজিয়াংয়ে বাস করা উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সি চিনপিং সরকার। তবে বেইজিং এটি অস্বীকার করে।
এদিকে চীনের মিত্র দেশ পাকিস্তান। মুসলিমপ্রধান দেশ হয়েও উইঘুর ইস্যু নিয়ে কমই কথা বলে পাকিস্তান সরকার। উইঘুর ইস্যুতে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের একটি বোঝাপড়া আছে। আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলব, কিন্তু বন্ধ দরজার পেছনে কারণ এটি তাদের প্রকৃতি ও সংস্কৃতি।
সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানকে স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তালেবানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি না দিলে দেশটি ২০ বছর আগের অবস্থায় ফেরত যেতে পারে। আর এটি পাকিস্তানের জন্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করবে।
ইমরান খান বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। এটি না হলে দেশটি আবারও ২০ বছর আগের জায়গায় ফেরত যাবে। এমনটি হলে এটি একটি বিপর্যয় হবে।
ইমরান খানের মতে, আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উর্বরভূমিতে পরিণত হবে। আর এটি পুরো বিশ্বের জন্য শঙ্কার বিষয় হবে বলে মনে করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
গত আগস্টে আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এ নিয়ে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, আমরা শঙ্কা করছিলাম সেখানে ব্যাপক রক্তপাত হবে। তবে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার পালাবদল হওয়ায় আমরা অনেক স্বস্তি পেয়েছি।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানে ঘাঁটি বানাতে দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে ইমরান খান বলেন, `আমার মনে হয় এখানে তাদের ঘাঁটি থাকার দরকার নেই। কারণ আমরা কোনো সংঘর্ষের কারণ হতে চাই না।'
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে উপকূলীয় দেশগুলো থেকে কোনো রকম চাপ দেওয়া হচ্ছে না বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।