পাকিস্তানে ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পেলে রাজনীতিকেরা আর ভোটে দাঁড়াতে পারতেন না। সেই নিয়ম বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই রায়ের ফলে ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নওয়াজ শরীফের আর কোনো বাধা থাকল না।
প্রধান বিচারপতি রায়ে বলেছেন, আগের সিদ্ধান্তের ফলে একজন নাগরিকের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল।
নওয়াজ শরীফ লড়তে পারবেন
২০১৭ সালে নওয়াজ শরিফকে অসৎ পন্থা নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার পরের বছর এই নিয়ম চালু হয় যে, একবার ফৌজদারি অপরাধের জন্য শাস্তি পেলে সারা জীবনের জন্য শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। তাই তিনি আর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থায় ছিলেন না।
গত বছর আদালত তাঁর বিরুদ্ধে দুটি রায় বাতিল করে দেন। কিন্তু তার পরেও তিনি নির্বাচনে লড়তে পারছিলেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে ৭৪ বছর বয়সি নওয়াজ শরিফ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে লড়তে পারবেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা নওয়াজ শরীফের ওপর থেকে সারা জীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা এবার উঠল। অবিচারের শিকার হয়েছিলেন নওয়াজ শরীফ।’
শরীফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। ইমরান এখন জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা চলছে। তাঁর ওপরেও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কোনো প্রভাব ইমরানের ওপর পড়বে না। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট কেবল সারা জীবনের জন্য যাদের রাজনীতি করা বন্ধ ছিল, তাঁদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছে।
ইমরানের আইনজীবী ইন্তাজার হুসেন পানজুঠা বলেছেন, ‘সোমবারের এই রায় আইন ও সংবিধানের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।’