দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাইকে পরাজিত করে পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে বলে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদ এবং সবগুলো প্রাদেশিক পরিষদে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ ও চার প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়।
ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী আসিফ আলী জারদারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেয়েছেন ২৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট। পিটিআই-সমর্থিত এসআইসি প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই জাতীয় পরিষদ এবং সিনেট নিয়ে গঠিত পার্লামেন্টে ১১৯ ভোট পেয়েছেন। পার্লামেন্টে খারিজ হয়েছে মাত্র একটি ভোট।
পাঞ্জাব প্রদেশ, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন আসিফ। অন্যদিকে শুধু খাইবার পাখতুনখাওয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন আচাকজাই।
পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আসিফ আলী জারদারিকে সমর্থন দিয়েছে। জোটের শরিকেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় আগেই ধারণা করা হয়েছিল যে আসিফ আলী জারদারিই হবেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, পশতুনখোয়া মিলি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) প্রধান আচাকজাই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
আসিফ আলী জারদারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত বছর আরিফ আলভীর প্রেসিডেন্ট মেয়াদের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত না হওয়ায় তিনি আরও এক বছর এ দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে জারদারি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই পাকিস্তানের প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।