পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথিপত্র তলব করেছেন লাহোর হাইকোর্ট। শুক্রবার লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ আমীর ভাট্টি পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) পাঞ্জাব প্রদেশের নেতা হামজা শেহবাজ ও পাঞ্জাব বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারির দায়ের করা পৃথক আবেদনের শুনানির সময় এই নির্দেশ দেন।
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক রেকর্ড তলব করা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে একটি উপযুক্ত আদেশ দেওয়ার জন্য নথিপত্রগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হোক।’
এদিকে, হামজা শেহবাজ ও দোস্ত মুহাম্মদ মাজারি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়ে হাইকোর্টে দুটি পৃথক আবেদন করেন। হামজা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন দ্রুত করার সম্পন্ন করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অপরদিকে, মাজারি পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকারের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন।
আদালতের কার্যধারার শুরুতে মাজারির আইনজীবী লাহোর হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানান, স্পিকার পারভেজ এলাহী বে-আইনিভাবে মাজারির ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। জবাবে বিচারপতি ভাট্টি বলেন, ‘স্পিকার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারলে তা প্রত্যাহার করতে পারছেন না কেন?’ মাজারির আইনজীবী জবাব দিয়েছিলেন, ‘স্পিকার এলাহী মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনীত প্রার্থী ছিলেন তাই তিনি স্পিকার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।’
এদিকে, বেশ কয়েক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ফাঁকা যাচ্ছে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই প্রদেশটিতে। তারই জের ধরে, লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমরান খান বিরোধী জোটের নেতা হামজা শেহবাজ।