অনলাইন ডেস্ক
অভাবনীয় একটি সোনার খনির আবিষ্কার পাকিস্তানের সংকটময় অর্থনীতিতে স্বস্তি এনে দিয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক এলাকায় ৩২ কিলোমিটারজুড়ে ২৮ লাখ তোলা (৩২ হাজার ৬৪৮ কেজি) সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাবের সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ।
এক্স হ্যান্ডলে মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাটকে সোনার খনি আবিষ্কারের বিষয়টি পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৭টি স্থানের নমুনা সংগ্রহ করে এই মজুতের বিশাল সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। এই আবিষ্কার পাঞ্জাবের প্রাকৃতিক সম্পদের বিশাল সম্ভাবনা তুলে ধরে।’
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। ৮০ হাজার কোটি রুপি মূল্যের খনিজ সোনার সন্ধান দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করার বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সম্পদের ব্যবহার জাতীয় ঋণ পরিশোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের প্রয়োজন মেটাতে অপ্রতুল। প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের তুলনায় বর্তমানে পাকিস্তানে বেকারত্বের হার অনেক বেশি। প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশের সম্পদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পাকিস্তানকে প্রতিবছর ১৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যুবসমাজের বেকারত্ব কমাতে মূল্যস্ফীতি অন্তত ৬ শতাংশ এবং নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে মূল্যস্ফীতি ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমানো প্রয়োজন।
এই সোনার খনির সন্ধান পাকিস্তানের জন্য একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সোনা যদি সঠিকভাবে উত্তোলন ও ব্যবহার করা যায়, তবে এটি জাতীয় ঋণ কমাতে এবং আর্থিক সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে।
এ ছাড়া, সোনা উত্তোলনে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, যা আঞ্চলিক অর্থনীতিকে চাঙা করবে। তবে, এই সফলতার জন্য সরকারকে সঠিক নীতি প্রণয়ন করতে হবে এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকসই ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় খনন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।