তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দেওয়া ৩ বছরের সাজা বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু ‘প্রয়োজনীয় শর্ত’ পূরণ না হওয়ায় সেই আবেদন ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়। গতকাল রোববার ইমরান খানের আবেদন ফেরত পাঠানো হয়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ইমরান খানের আইনজীবী সরদার লতিফ খোসা পাকিস্তানি সংবিধানের ১৮৫ অনুচ্ছেদের আওতায় এই আবেদন করেন। এই সময় রেজিস্ট্রার জানায়, আবেদনটি অসম্পূর্ণ। এর আগে, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে থাকা বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন ইমরান খান। গত ৫ আগস্ট এই মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দোষী সাব্যস্ত ও কারাদণ্ড হওয়ায় ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটি হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে একে একে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস ও দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইমরান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী।
ইমরান খান ও তাঁর দলের দাবি, ক্ষমতাসীন সরকার ও সেনাবাহিনীর চক্রান্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে, যাতে তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন।