যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই দ্বীপে দাবানলের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বীপটিতে আরও ১৭ জন নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাউই কাউন্টি কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আরও ১৭ জন এই দাবানলে নিহত হয়েছেন। এর আগে কয়েক দিন ধরে চলা এই দাবানলে নিহত হন ৩৬ জন। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ জনে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মাউই দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে হাওয়াইয়ের গভর্নর জশ গ্রিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ২ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটিয়েছে গতকাল (স্থানীয় সময় বুধবার)। ১১ হাজার মানুষ বিদ্যুৎসংযোগহীন অবস্থায় আছে। মাউইয়ের পশ্চিমাংশে কোনো ধরনের বিদ্যুৎসংযোগই নেই।
জশ গ্রিন জানান, দাবানলের ফলে ১ হাজার ৭০০ ভবন পুরোপুরি জ্বলে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি বলেছেন, ‘বিপর্যয় শুরুর পর থেকেই এখন পর্যন্ত এই আমাদের মূল্যায়ন। আপনাদের নিশ্চিত করছি যে, কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
উদ্ধার ও সন্ধান তৎপরতা চালু রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ আশপাশের এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের সড়কপথ। এ ছাড়া দ্বীপটিতে যাঁরা বেড়াতে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে হাওয়াইয়ের আশপাশের এলাকা খালি করাসহ এই অঞ্চলে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৪ হাজারের মত পর্যটক আটকা পড়েছে দ্বীপরাজ্যটিতে।
হাওয়াইয়ের গভর্নর সিলভিয়া লিউক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ধারণক্ষমতার বেশি লোকজনকে থাকতে দিতে হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’