অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত হতে যাচ্ছে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিল গেটসের নতুন স্মৃতিকথা ‘সোর্স কোড’। এই বইটিতে তিনি হার্ভার্ড জীবনের নানা ঘটনা শেয়ার করেছেন।
১৯৭৫ সালে হার্ভার্ডে ভর্তি হওয়ার পর নিয়ম ভাঙার কারণে একবার প্রায় বহিষ্কৃত হতে বসেছিলেন গেটস। তাঁকে ‘দুর্বিনীত’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময়ই গেটস তাঁর বন্ধুর সঙ্গে প্রথম মাইক্রোসফট সফটওয়্যার তৈরি করছিলেন। সেই সময় তিনি প্রচুর সময় কাটাতেন আইকেন কম্পিউটেশন ল্যাবরেটরিতে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি সেখানে ৭১১ ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন, যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
স্মৃতিকথায় গেটস উল্লেখ করেন, এক সহযোগী পরিচালক তাঁর ল্যাব ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরিচালক তার রিপোর্টে লিখেছিলেন, ‘সে (গেটস) তার কার্যকলাপের ফলাফল বুঝতে পারছে না এবং আমি যখন ব্যাখ্যা করেছি তখনো সে মোটেও প্রভাবিত হয়নি।’
গেটস তাঁর হার্ভার্ড জীবনে এলএসডি বা সাইকেডেলিক ড্রাগ সেবনের অভিজ্ঞতা নিয়েও একটি অদ্ভুত গল্প শেয়ার করেছেন। একবার তিনি তাঁর বন্ধু পল এবং পলের বান্ধবী রিটার জন্মদিন উদ্যাপন করতে গিয়ে এই ড্রাগ গ্রহণ করেছিলেন।
গেটস লিখেছেন, ‘ড্রাগের প্রভাবে মনে মনে ভাবছিলাম, কম্পিউটারে যেমন কোনো ফাইল ডিলিট করা যায়, তেমন করে মস্তিষ্ক থেকেও স্মৃতি মুছে ফেলা যায় কি না। কিন্তু তখনই চিন্তা করলাম, যদি এমনটা সম্ভব হয়, তাহলে তা হয়তো আর কখনো ফিরিয়ে আনা যাবে না। ফলে সেই ধারণা পরীক্ষা না করাই ভালো!’
পরদিন গোসল করতে গিয়ে তিনি চিন্তা করেন, তাঁর সবগুলো প্রিয় স্মৃতি ঠিকঠাক আছে কি না। তিনি নিশ্চিত হন, সবকিছু ঠিকই আছে। এরপর অবশ্য আর কখনোই তিনি এলএসডি নেননি।
গেটস আরও জানান, আজকের দিনে যদি তিনি শিশু হতেন, তাহলে তাঁকে হয়তো অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। তিনি বলেন, ‘আমার একটি অভ্যাস ছিল দুলতে থাকা, যা অনেকের কাছে বিরক্তিকর। কিন্তু সেই গভীর মনোযোগ গণিত এবং বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজন। পরবর্তীতে ওই অভ্যাসটি আমার একটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।’